সর্বশেষ আপডেট September 11th, 2016 4:08 PM
Oct 26, 2015 সুসং নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম : জেলার খবর, লাইফস্টাইল 0
মানিকগঞ্জ থেকে জাহাঙ্গীর আলম : মানুষ মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, সকলের তরে সকলে মোরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। কবিতার এই ব্রতকে বুকে লালন করে পৃথিবীর কিছু মানুষ নিরবে নিভৃতে চলমান রেখেছেন মানব সেবার এই অমূল্য মানব ধর্ম। যার পরিনতিতে সর্বাগ্রে বয়ে আনে মানব কল্যাণ। কিন্তু আজ স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমরা ভ’লতে বসেছি আজন্ম লালিত সুহ্রদ বাংগালীয়ানা মানসিকতা, সবার উপর মানব সত্য তাহার উপর নাই এই মর্মবানী। তথাপি ব্যক্তি স্বার্থের এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে আজও ছড়িয়ে আছে আদর্শবান অসংখ্য মানুষ, যারা সম্প্রতি সাদা মনের মানুষ নামে পরিচিত হচ্ছেন। যে মানুষগুলো নিজের কথা না ভেবে, নিজের স্বার্থ না দেখে শুধু মানব কল্যানে কাজ করে চলেছে। এমনি এক জন সাদা মনের মানুষকে আবিস্কার করেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কৈজুরী-হাজরাখালী সারদীয় দুর্গাপুজা উদ্যাপন কমিটি।
গত ২২অক্টোবর ২০১৫ পুজারী বৃন্দ, পুজামন্দির প্রাংগনে প্রায় সহশ্রাধিক হিন্দু-মূসলিম মানুষের সামনে সেই সাদা মনের মানুষ জনাব মনির হোসেন ফটিক (৬৫) কে সংবর্ধনা প্রদান করেন। হাজরাখালী গ্রামের এই সাদা মনের মানুষ মনির হোসেনের পিতার নাম মৃত আমিন মোল্যা এবং মাতার নাম মৃত মোছাম্মাদ সাবজান বেগম। চার ভাই বোনের মধ্যে তার অবস্থান ছিল তৃতীয়। সে ছিল বাবা মায়ের একমাত্র পূত্র সন্তান। তিনি শৈশব কালেই পিতা হারান। পারিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম মানুষটির বিদায়ের পর পারিবারিক অবস্থা সচ্ছল না থাকার কারণে তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ শুরু করে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করেন। মায়ের একার আয়ে এতগুলো মানুষের খাবার যোগার করা সত্যিই কঠিন ছিল। তাই তিনি সর্ব প্রথম জীবিকার সন্ধানে আজ থেকে প্রায় ৪০বছর আগে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় এসে কোন কাজ না পেয়ে প্রথমে রিক্সা ও পরে সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের করা চেষ্টা শুরু করেন। যা আয় করতেন তার অধিকাংশ টাকাই তিনি বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন যাতে মা সহ ছোট বোনগুলো কোন মতে বেঁচে থাকে। এভাবেই তিনি তার তিনটি বোনের বিবাহের ব্যবস্থা করেন। একদিকে তিনি নিজের ভ্যাগ্যকে যেমন পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন অন্যদিকে এলাকাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। তৎকালীন সময় ঢাকাতে অত্র এলাকার তেমন কোন মানুষ ছিল না বললেই চলে। তাই অত্র এলাকার মানুষ যাহারাই চিকিৎসা, চাকুরী বা পড়ালেখা করার জন্য ঢাকাতে গিয়েছেন তারা সবাই তার এক কামরার টিনের ভাড়া বাসায় উঠেছেন, থেকেছেন এবং অল্প আয় থেকেই অতিথিদের যতœ করার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। কৈজুরী-হাজরাখালী গ্রামের একাধিক রোগী তার বাসায় দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে এসেছেন। মনির হোসেন তার সামান্য আয় দিয়ে সকলকে সাহায্য করেছেন অকৃপণ হাতে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর এক ধন্যাঢ্য ব্যক্তি তার রিক্সার নিয়মিত যাত্রী ছিলেন। তিনি মনির হোসেন‘র সততা এবং ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাকে রিক্সা চালান বাদ দিয়ে তার নিজস্ব মার্কেট দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেন। শুরু হয় তার নতুন পথ চলা। তিনি অত্যান্ত সততার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেন। ফলে মালিক খুশি হয়ে তাকে মার্কেটের ম্যানেজারের দায়িত্বের পাশাপাশি একটি দোকান লিখে দেন। পাল্টে যায় জীবনের ধারা, চলে আসে জীবনের সচ্ছলতা। বর্তমানে তিনি চার মেয়ে ও এক পূত্র সন্তানের জনক এবং পারিবারিক ভাবে অনেক সচ্ছল মানুষ।
ছেলে মেয়েগুলো এখন ঢাকার ভাল স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করছেন। গ্রামের বাড়িতে একটি পাকা বাড়ি করেছেন কিন্তু এখনও তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব, একই সাথে মানব সেবা করে যাচ্ছেন অত্যান্ত নিষ্টার সাথে। মনির হোসেন ফটিক এর মানব সেবার এই অতুলনীয় উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য পূজা উৎযাপন কমিটি তার কাজের প্রতি সম্মান দেখান এবং তাকে বিভিন্ন ধরণের উপকরণ, ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন। পুজা কমিটির সভাপ্রতি গৌড় চন্দ্র রুন্দ্র যখন পুজামন্দির প্রাঙ্গনে তার হাতে ক্রেষ্ট, জায়নামাজ, হাজী টাওয়াল তুলে দেন, তখন তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে যান, তিনি বলেন আমি এত বড় সম্মান পাব তা জীবনেও ভাবতে পারিনি। আমি শুধু ভেবেছি মানুষের জন্য আমি যা করেছি তা আমার কর্তব্য। কোন কিছু পাওয়ার জন্য আমি আমার এলাকার মানুষকে সাহায্য করিনি। এটা আমার জীবনের জন্য স্বর্গ পাওয়ার মতো। তিনি কথা বলতে গিয়ে আবেগে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। একই সাথে উপস্থিত প্রায় হাজার খানেক হিন্দু মুসলিম দর্শনার্থীরাও তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা বরুন চন্দ্র সাহা বলেন, আজ আমাদের এলাকায় মনির হোসেনের মত মানুষের বড়ই অভাব। আমরা সবাই এখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু মনির হোসেন ফটিক আমাদের জন্য যা যা করেছেন তার জন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ ও ্ঋণী এবং একই সাথে আমরা সম্মানিত কারণ সে এই কৈজুরী-হাজরাখালীর বাসিন্দা, আমাদের ভাই। তার কারণে পুজা মন্ডবের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সব ধর্মের মানুষের মধ্যে যেমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি তৈরী করেছে, তেমনি ভুলিয়ে দিয়েছে হিন্দু মুসলিম, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদের মধ্যে ভেদাভেদ। সমাজের পরিবর্তন আনার জন্য এই ধরনের সাদা মনের মানুষের খুবই প্রয়োজন। মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তাঁর নয়নমনি, হিন্দু যে তাঁর প্রান ………..।
Sep 11, 2016 0
Sep 11, 2016 0
Sep 10, 2016 0
Aug 29, 2016 0
দুর্গাপুরে শোকের মাতম পানিতে ডুবে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
Sep 11, 2016 0
দুর্গাপুরে আহম্মদ হোসেন এর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া...
Sep 11, 2016 0
দুর্গাপুরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
Sep 10, 2016 0
শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই জঙ্গি নিহত
Aug 29, 2016 0
Sep 11, 2016 0
Sep 10, 2016 0
Aug 29, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Aug 24, 2016 0
Sep 17, 2014 0
Oct 23, 2015 0
Aug 10, 2015 0
Jan 01, 2015 0
May 16, 2015 0
Dec 29, 2014 0
Apr 07, 2015 0
Oct 07, 2015 0
Jun 20, 2014 0
Jan 05, 2015 0
May 16, 2015 0
Jan 08, 2015 0
Jan 09, 2015 0
Aug 11, 2016 0
Jul 15, 2016 0
Feb 16, 2016 0
Jan 07, 2016 0
Dec 07, 2015 0
Nov 30, 2015 0
Oct 26, 2015 0
Oct 06, 2015 0
Feb 21, 2016 0
দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভায় মহিলা ডিগ্রী কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) দিলোয়ারা বেগম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,...
Aug 22, 2016 0
Aug 20, 2016 0
Aug 09, 2016 0
Jul 05, 2016 0
Mar 12, 2016 0
Feb 28, 2016 0
দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম খাঁন ও সদ্য যোগদানকারী অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমাযুন কবীর এর সাথে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার...
S | S | M | T | W | T | F |
---|---|---|---|---|---|---|
« Sep | ||||||
1 | 2 | 3 | 4 | |||
5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 |
12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 |
19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 |
26 | 27 | 28 | 29 | 30 |